< দইয়ের উপকারিতা ( অসাধারণ ১১ টি উপকারিতা ) - সঠিক তথ্যের ঘর
মিষ্টি

দইয়ের উপকারিতা ( অসাধারণ ১১ টি উপকারিতা )

ছোট বড় আমরা সবাই দই পছন্দ করি। সুস্বাদু এই খাবার খেতে কে না ভালোবাসে। এটা যেমন একটি মজাদার খাবার তেমনি রয়েছে এর অনেক উপকারিতা। আজ আমরা দইয়ের উপকারিতা সম্পর্কে জানব। আমাদের দেহের বিভিন্ন অংশে দইয়ের উপকারিতা অপরিসীম। তাই আমাদের প্রতিদিন দই খাওয়া প্রয়োজন।

দই দু রকমের হয়ে থাকে। এক হলো মিষ্টি দই আর দুই হলো টক দই। দুই রকম দইয়েই আমাদের দেহের পুষ্টি চাহিদা মেটায়।

দই বানানোর রেসিপি

দইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরনঃ

১. দুধঃ ২ লিটার।
২.পানিঃ ২ কাপ।
৩.চিনিঃ ৪০০ গ্রাম।
৪. দইয়ের বীজঃ ৪ টেবিল চামচ।
৫.মাটির পত্রঃ ২ টি।

আরো পড়ুনঃ  কিভাবে রান্না করবেন সেরা ডিম সেমাই রেসিপি

দই বানানোর কার্যপ্রণালিঃ

১. একটি পাত্রে দুধ নিবো। এতে ২ কাপ পানি ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে জ্বাল দিবো।
২. জ্বাল দিতে দিতে যখন বাষ্প হয়ে অর্ধেক হয়ে যাবে। তখন এতে চিনি ভালোভাবে মিশিয়ে দিবো।
৩. চিনি দেওয়ার আগে চিনিতে ভালোভাবে গরম পানি মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে হালকা বাদামী বর্ণের করে নিবো।
৪. দুধ যখন আরো ঘন হয়ে আসবে তখন সামান্য ঠান্ডা করে নিবো।
৫. তারপর এর মধ্যে দইয়ের বীজ ভালোভাবে মিশিয়ে নিবো।
৬. এবার মাটির পাত্রে ঢেলে ভারী কাপর দিয়ে ঢেকে দিবো।
৭.  এখন ৭-৮ ঘন্টা ফ্রিজে রাখবো তার পর পরিবেশন করবো।

দইয়ের উপকারিতা

আরো পড়ুন

দই খাওয়ার উপকারিতা

১. দাঁত এবং হাড়কে মজবুত করে

দই হাড় এবং দাঁত মজবুত করে। দইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন-ডি। তাই প্রতি দি দই খেলে হাড় এবং দাঁত শক্ত হয়।

আরো পড়ুনঃ  ঘি এর উপকারিতা ( Benefits Of Ghee ) ঘি খাওয়ার নিয়ম এবং খাঁটি ঘি এর দাম

২. হজমের উপকার হয়।

প্রতিদিন দই খেলে হজম বৃদ্ধি পায়। হজম শক্তি বাড়াতে দই খেতে পারেন।

৩. দইয়ে রয়েছে উপকারী ব্যাকটেরিয়া।

আমাদের দেহে দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে। উপকারী ব্যাকটেরিয়া এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। দইয়ের উপকারী ব্যাকটিরিয়া ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে ধংস করে।

৪. রক্তচাপ কমায়।

যাদের রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা দই খেতে পারেন। দইয়ে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৫. ত্বক ভালো রাখে।

দইয়ে এক প্রকার ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে। যা ত্বক ভালো রাখতে অনেক ভুমিকা পালন করে।

৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

নিয়মিত দই খেলে দেহের শ্বেত রক্ত কনিকা বেড়ে যায়। এই শ্বেত রক্ত কনিকা জীবাণু ধংস করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৭. ছত্রাক প্রতিরোধ করে।

মানুষের দেহের সংবেদনশীল অংশে ছত্রাক আক্রমন করে। দই এই ছত্রাক প্রতিরোধ করে।

৮. পাকস্থলীর সমস্যা দুর করে।

পাকস্থলীর সমস্যা দুর করতে দইয়ের ভুমিকা অপরিসীম। দই ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্ত্রের সমস্যা দুর করে।

৯.ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

দই ক্যানসার প্রতিরোধ করতেও সক্ষম। দইয়ে থাকা উপাদান ক্যানসার কোষকে ধংস করে।

আরো পড়ুনঃ  এক নজরে জেনে নিন কিভাবে তৈরি করবেন মজাদার পায়েস

১০. ক্লান্তি কমায়।

দই মস্তিষ্কে Tyrosine দেয়। যার ফলে মানসিক শান্তি আসে এবং ক্লান্তি কমে।

১১. ওজন কমায়

ওজন কমানোর খাবার হিসাবেও দই খুব উপকারী। প্রতি দিন দই খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই শরীরের ওজন ঠিক রাখতে দই খেতে পারেন।

আমাদের শেষ কথা

দই একটি খুব প্রিয় এবং মজাদার খাবার। তাই বাসাতে বা দোকানে সময় সুযোগ পেলেই দই খাবেন। দইয়ে থাকা পুষ্টি উপাদান আপনার দেহের জটিল সমস্যার সমাধান দিবে। তাই মাঝে মাঝে সময় নিয়ে বাসাতেই দই বানানো উচিৎ।

You cannot copy content of this page

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker