< ওজন কমানোর সহজ উপায় (গুরুত্বপুর্ণ ১৬ টি টিপস আপনার জানা দরকার)
শারীরিক স্বাস্থ্য

ওজন কমানোর সহজ উপায় (গুরুত্বপুর্ণ ১৬ টি টিপস আপনার জানা দরকার)

ওজন কমানোর সহজ উপায় নিয়ে আমাদের এই কনটেন্টটি লিখা। আমাদের যাদের শরীরের ওজন প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত। তারা সবসময় চেষ্টা করি আমাদের ওজন কিভাবে ঠিক রাখা যায় । আমরা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য অনেক কিছু করি। অনেকেই নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারি আবার অনেকেই পারি না। এত সব নিয়ম মেনেও যদি ওজন ঠিক না থাকে। তাহলে ত খুবই জামেলার একটা বিষয়। আমাদের ব্লগে আপনি পাবেন ওজন কমানোর সহজ উপায়।

সূচিপত্র বা ইনস্ট্যান্ট কন্টেন্ট

ওজন কমানোর জন্য আপনি খাওয়া কমিয়ে দেন। তবে একদম না খেয়ে থাকবেন না। তবে এটা সত্যি কথা যে কারো ওজন যদি একবার অতিরিক্ত বেড়ে যায়। তাহলে কমানো একটু কষ্টকর। আপনি অনলাইনে ওজন কমানোর সহজ  উপায় লিখে সার্চ করলে অনেক পোস্ট পাবেন। ওজন কমানোর এসব উপায় গুলো থেকে আপনি আপনার পছন্দমতো একটি উপায় বেছে নিন। এবং নিয়মানুযায়ী চেষ্টা করতে থাকুন।

সত্যি যদি আপনি আপনার ওজন কমাতে চান। তাহলে আপনাকে কঠিন কিছু নিয়ম অনুসরন করতে হবে। ওজন কমানোর নিয়ম হল ধিরে ধিরে কমানো । আপনি চাইলেই একবারে অনেক বেশি ওজন কমাতে পারবেন না। এতে আপনার সমস্যা হতে পারে। তাহলে আসুন আমরা জেনে নেয় ওজন কমানের সহজ কিছু উপায়।

অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা

আপনার প্রয়োজনের থেকে বেশি ওজন হওয়া মানেই আপনার শরীরে রোগ বাসা করার সম্ভভনা বেড়ে যাওয়া।   প্রথমত, আপনাকে জানতে হবে অতিরিক্ত ওজনের কুফল সম্পর্কে। এবং আপনাকে আপনার ওজনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে । অতিরিক্ত ওজন আপনার শরীরের জন্য মারাক্তক ঝুঁকিপূর্ণ। অতিরিক্ত ওজনের কারনে আপনার শরীরে রক্তে চর্বি বেড়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ইত্যাদি সমস্যার কারণ হিসেবে বাড়তি ওজন চিহ্নিত হয়েছে।

অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়ার আর নানা অসুবিধা রয়েছে । অতিরিক্ত ওজন ভেরে গেলে মানুষের শরীরের সুস্থতা বা সৌন্দর্য বলতে কিছুই থাকে না। রক্ত চলাচলে বাধা আসে আল্প পরিশ্রমেই ক্লান্তি আসে। এছারাও আরও অনেক সমস্যা রয়েছে। তাই আমাদের ওজন খুব বেশি খেয়াল রাখার একটি বিষয় ।

ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রধান ২ টি কারণ

প্রথমতঃ আপনার প্রতিদিনের খাবারের দিকে খেয়াল না রাখা। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া বা ওজন বেড়ে যায় এমন খাবার থেকে বিরত না থাকা।

দ্বিতীয়তঃ প্রতিদিন ২ ঘণ্টা শারিরীক ব্যায়াম বা নিৰ্দিষ্ট পরিমান পরিশ্রম না করা।

কেন আমাদের ওজন কমানো প্রয়োজন

সুস্থ সুন্দর জীবন জাপন করতে চাইলে আমাদের অতিরিক্ত ওজন কমানো বা ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা অতি জরুরি একটি বিষয়। আমাদের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন উপায় খুজে বের করতে হবে। শরীরকে রোগমুক্ত রাখার জন্য, আমাদের প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। ওজন পরিমান মত থাকলে শরীর সুস্থ থাকে। এবং আপনাকে দেখতেও স্মার্ট লাগবে।

আরো পড়ুনঃ  নিশাত ট্যাবলেট | হামদর্দ নিশাত ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম ও কাজ কি

ওজন কমাতে লেবু পানির উপকারিতা

প্রতিদিন এক গ্লাস করে লেবুর রসের সাথে পুদিনা পাতার জুস খেলে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমে যাবে। এভাবে বেশ কিছুদিন করতে হবে যার ফলে ওজন অনেকটা কমে যাবে। কেননা লেবুর রসে থাকে ভিটামিন সি যা জৈব এসিড।ভিটামিন সি ও জৈব এসিড প্রায় সকল প্রকারের টক খাবারে থাকে।তাই লেবুর মতো সকল প্রকার টক খাবার স্বাস্থের জন্য ভালো।

ওজন কমানোর জন্য লেবু হচ্ছে এমন এক উপাদান যা আমরা সারা বছর খুব সহজেই পেয়ে থাকি। লেবু সকল জায়গায় পাওয়া যায়। লেবু গ্রামে চাষ করা যায় যেমন তেমনি শহরে বাসার ছাদেও চাষ করা যায়। তাই প্রতি জায়গার মানুষ যেকোন সময় লেবু দ্বারা নিজের ওজন কমাতে পারবে।লেবুর সাথে আদা, এলাচ মিশিয়ে বেশ কিছুক্ষন গরম করে তার পর প্রতিদিন খেলে ওজন কমতে থাকবে। এছাড়া লেবুর সাথে অন্যান্য উপকরন মিশিয়ে ওজন কমানোর রেসিপি বানানো যায়।

ওজন কমাতে ধনিয়া পাতা

ধনিয়াপাতা হচ্ছে এক ধরনের সুগন্ধি পাতা।যা আমরা সবজি বা তরকারিতে স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করে থাকি। কিন্ত ধনিয়াপাতা একটি ঔষধি পাতা, যা আমাদের দেহের অনেক উপকার করে৷ এটি দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।ধনিয়াপাতায় রয়েছে

কোয়ারসেটিন উপাদান যা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। ওজন কমাতে ধনেপাতা সেবনের নিয়ম হলো, কিছু ধনেপাতা একটি বোতলে পানি দিয়ে বরে রখুন, এটি ২৪ গন্টা বিজিয়ে রাখুন তার পর পাতা বিজানো পানিটা সেবন করুন। আপনার ওজন অনেকটা কমে যাবে।

এছাড়াও ধনেপাতার রস তৈরী করে খেতে পারেন৷ যেমন কিছু ধনেপাতা ব্লেন্ডারে নিয়ে ব্লেন্ড করোন তার পর যে পেস্ট হবে তা সেবন করোন৷ এতে আপনার ওজন কমতে সাহায্য করবে।

Also Read:

ওজন কমাতে মশলা সমৃদ্ধ খাবার

খবারে অনেক দরনের মশলা ব্যবহার করা হয় যা আমাদের রান্নার স্বাদ বাড়ায়। তবে কিছু মশলা আছে যা আমাদোর ওজন কমাতেও সাহায্য করে যেমনঃ

  • লাল মরিচে রয়েছে প্রচুর ঝাল য আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়। যা আমাদের বিপাক বাড়ায় যার ফলে দেহের ক্যলরি খরচ হয়। যা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
  • দারুচিনি এমন এক উপাদান যা আমাদের ক্ষুধা কমাতে সাহায্যকরে। যা ওজন কমানোর টিপ্স এর মধ্যে পড়ে।
  • জিরা হচ্ছে এমন এক উপাদান যা আমাদের দেহের চর্বি কমাতে সাআহায্য করে। দেহে চর্বির মাত্রা কম থাকলে ওজন কমতে থাকে।
  • আধা হচ্ছে এমন এক উপাদান যা আমাদের দেহে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যাদের ডায়বেটিস আছে পাশাপাশি ওজন অনেক বেশি তারা যদি খাবারে আধার পরিমান বেশি করে তবে তাদের ওজন দ্রুত কমতে থাকবে।

ওজন কমাতে শসা

শসা আমরা সবজি হিসাবে ব্যবহার করি বা খেয়ে থাকি। ওজন কমাতে শসা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

স্বাস্থ্য সুখের মূল। তবে তা অতিরিক্ত মোটা বা একদম স্বাস্থহীনতাকে বুযায় না৷ বুযায় স্বাভাবিক সিস্থ শরীরকে। আমাদের অনেকের দেহের ওজন অনেক বেশি। যার ফলে আমরা অনেক সমস্যায় বুগি। কাজ করতে পারিনা ঠিক মতো। যার ফলে আমরা অনেক কষ্ট বুগ করি। আর এর থেকে সমাদান পাওয়ার সহজ উপায় হচ্ছে শসা।

আমাদের যখন ক্ষুদা লাগবে তখন অন্য খাবার না খেয়ে আমার যদি শসা খাই তবে আমাদের ক্ষুদা নিবারন হবে পাশা পাশি আমাদের স্বাস্থের ওজন অনেক দ্রুত কমে যাবে। কেননা শসা তে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি ম্যগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম। শসাতে ক্যালরির পরিমান খুব সামান্য থাকায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

শসা শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে অনেক সাহায্য করে। আনি যদি সারাদিন অন্যকিছু না খেয়ে শসা খান তবুও আপনি সুস্থতা অনুভব করবেন। শসা ভাতের সাথে খাওয়া যায়। এছাড়া এটি আমরা সবজি হিসাবেও খেতে পারি।

আরো পড়ুনঃ  কৃমি ঔষধ খাওয়ার নিয়ম | কৃমি ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম।

দ্রুত ওজন কমাতে রসুন

দ্রুত ওজন কমাতে সকালে খলিপেটে তিন কোয়া রসুন চিবিয়ে অথবা কুচি করে কেটে খেয়ে ফেলুন। এভাবে কিছুদিন খেলে দেখবেন ওজন অনেকটা কমে যাবে।

রসুনে পুষ্টি উপাদান

রসুন হলো এমন একটি সবজি উপাদান যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি সিক্স। ভোজ্য আঁশ, ম্যাগাজিম্ক ও ক্যালসিয়াম। রসুনে ক্যালরি থাকে ৩৬০ শতাংশ, চর্বি থাকে১৩.৮ শতাংশ লৌহ থকে ২২ শতাংশ এছাড়াও আরো উপাদান থাকে।

রান্নায় রসুনের ব্যবহার

রসুন এমন একটি উপাদান যা আমরা প্রায় সকল প্রকার রান্নায় ব্যবহার করে থাকি। যেমন বিভিন্ন প্রকারের তরকারী, সবজি, ও বাজিতে আমরা রসুনের ব্যাবহার করে থাকি। রসুনের ব্যাবহার বেশি করতে হবে ওজন কমাতে হলে। শুধু তাই নয়, রসুন কে অধিক সময় রান্না করলে এর গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করেনা। আর তাই অল্প সময় রান্না করতে হবে। তাহলে রসুনের গুনাগুন থাকবে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

ওজন কমানোর সহজ ১৬ টি উপায়

মধুর সাহায্যে ওজন কমানোর রেসিপি

মধুর অনেক উপকারীতা রয়েছে। মধু ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে। মধু সেবনের ফলে আমাদের দেহের ওজন অনেক কমে যাবে।তবে মধুর সাথে বেশ কিছু উপাদান মিশ্রন করতে হবে। যেমন,মধুর সাথে দারুচিনি মিশিয়ে ওজন কমানো যায়। এক চামচ দারুচিনি এর সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খোলে আপনার ওজন অনেক দ্রুত কমতে শুরু করবে।তবে এভাবে বেশ কিছু দিন খেতে হবে ।তার পর দেখবেন আপনার ওজন কতটা কমে গেছে।

প্রতিদিন গ্রীন টি খাওয়া

আপনি আপনার ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন গ্রীন টি খেতে পারেন। আপনি এটা প্রতিদিন ১ কাপ খেলে প্রতি সপ্তাহে ৪০০ কিলরি ওজন কমবে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার শরীরকে ঠিক রাখে।

বেশি করে শাক-সবজি ও ফলমূল খাবেন।

বেশি পরিমানে শাক সবজি এবং ফল খাবেন। এতে আপনার শরীরের ওজন কমবে।

ওজন বেড়ে যায় এমন খাবার না খাওয়া

যেসব খাবার খেলে আপনার ওজন বেড়ে যাই সেগুলো থেকে আপনাকে দূরে থাকতে হবে।

খাবারের মেনু ঠিক করা

যে দিন থেকে ওজন কমানোর জন্য চেষ্টা শুরু করবেন। সেদিন থেকেই আপনার খাবারের মেনু পরিবরতন করে নিবেন। ওজন কমে এমন খাবার মেনুতে রাখবেন।

বেশি পরিমানে পানি পান করা

আপনাকে প্রতিদিন পরিমান মত পানি পান করতে হবে। বেশি পরিমানে পানি পান করার মাধমে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমানো সম্ভব। আপনাকে প্রতিদিন পরিমান মত পানি পান করতে হবে। বেশি পরিমানে পানি পান করার মাধমে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমানো সম্ভব।

ফোন কথা বা চেট করার সময় হাঁটাহাঁটি করা

আপনি যখন ফোন কথা বলবেন তখন এক স্থানে বসে বা দারিয়ে থাকবেন না। একটু হাঁটাহাঁটি করে কথা বলুন এতে আপনার শরীরের ব্যায়াম হবে।

চিনি কম খাওয়া

আমরা যারা ওজন কমানোর জন্য চেষ্টা করতেছি। তাদের অবশ্যয় চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। কারন চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার আপনার শরীরের ওজন আরও বাড়িয়ে দিবে।

ক্যালরি বিহীন ও আঁশযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া

অবশ্যয় আপাকে প্রতিদিন ক্যালরি বিহীন ও আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। যেমন, সালাদ, সবজি, স্যুপ। না হলে আপনার ওজন কমার থেকে আরও বেশি বেড়ে যাবে।

টেবিলে রকমারি খাবার কম রাখা

আপনার খাবার টেবিলে আপনি যে খাবার গুলো রাখবেন। এগুলো আপনার শরীরের ওজন এর দিকে খেয়াল করে রাখবেন। কারন খাবার টেবিলে বেশি রকমারি খাবার রাখলে আপনার বেশি খেতে ইচ্ছা করবে।

কোমল পানীয় ও তেলে ভাজা খাবার খাওয়া যাবে না।

আমারা সবাই প্রায় এই ভুলগুলো করে থাকি। ওজন কমাতে চাই আবার তেলে ভাজা বা কোমল পানিয় খাবারও খায়। এটা করলে আপনার ওজন কখনই কমবে না। তাই এটা বর্জন করুন।

আরো পড়ুনঃ  আই-পিল খাওয়ার নিয়ম | i-pill |ইমার্জেন্সি পিল

ওজন কমাতে দিনের বেলায় না ঘুমানো

দিনের বেলা ঘুমালো দেহের ওজন বাড়ে। তাই দিনের বেলা ঘুমানো ওজন বাড়ার জন্য অনেক আংশে দয়ী। কেননা যাদের ওজন বেশি তারা সব সময় ক্লান্তি বোধকরে। ক্লন্তি বোধ করার ফলে ঘুমিয়ে পড়ে। শুয়ে থাকে। যার ফলে দেহের ক্যলরি সচল থাকে, নতুন ক্যলরির গঠন শুরুহয় নিনের ঘুমের ফলে। যার ফলে ওজন বাড়তে থাকে। তাই বলা যায় যে ওজন কমাতে হলে দিনের বেলায় ঘুমানো উচিত নয়।

তেল মশলা যতটা সম্ভব কম খাওয়া

রান্না করার সময় তেল মশলা কম ব্যাবহার করতে হবে। বেশি পরিমানে তেল মশলা আপনার ওজন বাড়িয়ে দিবে ।

প্রতিদিন ব্যায়াম করা

আপনাকে প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে কমপক্ষে ১৫ মিনিট করে ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়ামের মাধ্যম যেমন আপনার ওজন কমবে। তেমনি আপনার শারীরিক অবস্থাও ভাল থাকবে।

ওজন কমানোর সহজ উপায়

হাটার ফলেও ওজন কমে। তবে শুধু হাটলেই হবেনা হাটার মতো হাটতে হবে। যেমন ওজন কমানোর জন্য ৪৫ থেকে ৬০ মিনিট হাটা ভালো। কারন এই সময় টুকু হাটলে আপনার শরীরের ক্যলরি অনেক কমে যাবে। দ্রুত হাটতে হবে যার ফলে প্রতি মিনিটে ৩ ক্যলরি করে পুরবে। যার ফলে ঘন্টায় অনেক ক্যলরি কমে যাবে। শুধু হাটলেই চলবেনা হাটার সাথে ব্যয়াম করতে হবে। যেম দেহের পরিশ্রম হয়। পরিশ্রমের ফলে দেহের ক্যলরি কমে যাবে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

খাবার গিলে ফেলার আগে খুব ভালো করে চিবিয়ে খাবেন।

আমারা অনেক খাবার ভাল করে চিবিয়ে খায় না। তারাতারি খাওয়ার জন্য খাবার গিলে খায়। এই রকম করে খাবার খাওয়া শরীরের জন্য ঝুঁকি । তাই খাবার চিবিয়ে আস্তে আস্তে খাবেন।

সালাদে কোন মাছ বা মাংসের টুকরা না মেশাবেন

ভুল করেও সালাদে কখনও মাছ বা মাংসের টুকরা মেশাবেন না। এই ধরনের সালাদ আপনার ওজন বাড়িয়ে দিবে।

সব সময় কাজ করা

সর্বশেষ, ওজন কমানোর আরেকটি ভালো উপায় হল সবসময় নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখা। কাজ করলে আপনার শরীর ও মন দুইটাই ভালো থাকবে।

শারীরিক পরিশ্রম বলতে প্রত্যাহিক জীবনের বিভিন্ন কাজ কর্ম করাকে বুঝায়। যার দ্বারা আমাদের শরীর ক্লান্ত হয়, যার ফলে আমরা কিছুটা ক্লান্তি বোধ করি তাকেই শারীরিক পরিশ্রম বলে।পরিশ্রমের ফলে আমাদের শরীরের অনেক উপাদান কমে যায় বা আক্রান্ত হয়। যার ফলে দেহ বেশি দূর্বল হয়ে পরে। এভাবে ওজন কমানো সম্ভব।

ওজন কমাতে দেরি করে খাওয়া

অতিরিক্ত ওজনের ফলে আমরা অসু্স্থ হয়ে পড়ি।আমাদের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে চর্বিযুক্ত খাবার। তাই আমাদের চর্বি যুক্ত খাবার থেকে নিজেকে বাচিয়ে রাখতে হবে।

আমাদের ওজন কমাতে হলে খাবার খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে যেমন, সকালে হাল্কা নাস্তা করা, দুপুরে পেট বরে খাওয়া যাবেনা। রাতে খাবার খেলেও একদম কম খেতে হবে। অথবা ডায়েট করতে হবে। ওজন কমাতে হলে এমন ভাবে খেতে হবে যেন সব সময় ক্ষুদা থাকে। যার ফলে দেহে ক্যলরি নিয়ন্ত্রনে থাকবে।

তাছাড়া চর্বিযুক্ত খাবার যেমন মাংস, মাছ, ডিম, দুধ, মাখন ইত্যাদি খাবার একদম খাওয়া যাবেনা৷ কেনানা এগুলোতে অনেক চর্বি রয়েছে। যা আমাদের স্বাস্থ বাড়াতে সাহায্য করে। এগুলো খাওয়া যাবেনা।

আমাদের শেষ কথা

আপনি যদি ভালো এবং সুস্থ থাকতে চান। তবে আপনার ওজন ঠিক রাখুন। ওজন কমানোর উপায় মেনে নিয়মিত ওজন কমাতে পারেন। উপরের এই ওজন কমানোর উপায় আপনাকে আপনার ওজন কমাতে হেল্প করবে। নিয়মিত ব্যায়াম, এবং খাবার নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে আপনি ওজন কমাতে পারেন। আমাদের এই ব্লগে স্বাস্থ্য বিষয়ক আরও অনেক টিপস আছে। আপনি চাইলে দেখে আসতে পারেন।

You cannot copy content of this page

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker