করোনার সময়ে শিশুদের মানসিক অবস্থা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই শিশুদের মানসিক অবস্থা এর প্রতি নজর দিতে হবে। শিশুদের প্রতি খেয়াল রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। প্রতিটি পিত মাতার তার তাদের শিশুদের মানসিক অবস্থা এর দিকে খেয়াল রাখা উচিত
করোনাভাইরাসের মহামারি ঠেকাতে সারা বিশ্বের মানুষ আজ ঘরবন্দি হয়ে আছে । করোনার এমন সময়ে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় শিশুরাও ঘরে রয়েছে।
শিশুদের পড়াশোনার চাপ কম থাকলেও খেলাধুলা করার কোন সুযোগ নেই । তাই শিশুরা মানসিক চাপে পরার সম্ভবনা রয়েছে ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের এই সময়ে শিশুরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে। অনেক শিশুরা আবার হতে পারে আতঙ্কগ্রস্ত।
তবে অধিকাংশ শিশু মোবাইল গেম খেলে সময় পার করছে । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন এই অবস্তা বেশি থাকলে শিশুরা মানসিকভাবে বিপদের মুখে পরতে পারে।
শিশুরা করোনাভাইরাসের এই সময়টা কিভাবে কাটাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ব্যাপারে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনাগুলো হলো
এক, শরীরচর্চা করানোর অভ্যাস
ঘরের মধ্যে স্কিপিং, দড়ির লাফ, হাঁটাহাঁটি করানুর কথা বলেছেন বিশেজ্ঞরা। আর যদি বাসা ভিতরে দৌড়ানো বেবস্তা থাকে তবে হালকা দৌড়ানো।
আরো পড়ুন: ব্যায়ামের উপকারিতা ( শরীর চর্চার ১০ টি উপকারিতা )
দুই, সন্তানের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে।
শিশুদের পাশাপাশি বয়স্কদেরও শরীরচর্চা করা দরকার। তাই শিশুদের খেলায় সঙ্গ দিন। তাহলে ওদের সাথে খেলতে খেলতে আপনাদেরও কিছুটা শরীরচর্চা হয়ে যাবে।
তিন, শিশুদের হাতে বিভিন্ন রকমের বই তুলে দেওয়া
আপনার সন্তানের হাতে গেম খেলার জন্য ফোন তুলে না দিয়ে ভাল গল্পের বই তুলে দিন। এত সময়ও ভাল কাটবে আর ওর মন ও ভাল থাকবে।
চার, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিভি, মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে জানা যায়। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিভি, মোবাইল বা কম্পিউটার দূরে রাখায় ভাল। তবে ওদের প্রতিদিন বড়জোড় ১ ঘণ্টা টিভি বা কম্পিউটারের সাথে সময় কাটাতে পারে বলে মনে করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আরো পড়ুন: দামের সাথে শীর্ষ ব্র্যান্ডের দেশী বিদেশী গ্যাসের চুলা এবং ওজন কমানোর সহজ উপায় (গুরুত্বপুর্ণ ১৬ টি টিপস আপনার জানা দরকার)
আমাদের শেষ কথা
আপনাকে আপনার শিশুর প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। শিশুর সকল রকমের কাজ কর্ম আপনাকে খেয়াল করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কোনো ভাবেই যেন আপনার শিশুটি মানসিকভাবে আতঙ্কগ্রস্ত না হয়।
আপনার শিশুকে মানসিক ক্ষতিগ্রস্তের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। আর এই জন্য আপনি উপরের নিয়ন গুলো অনুসরণ করতে পারেন।